![]() |
probashi life and story |
জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে যারা ভিন দেশে পাড়ি জমায় তাদেরকে প্রবাসী বলা হয়। বর্তমানে প্রায় ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশী মানুষ প্রবাস জীবনযাপন করছে। যার মধ্যে কেউ আছে বৈধভাবে আবার অনেকে আছে অবৈধভাবে। যাইহোক, প্রবাসী এই সূর্য সন্তানরা তাদের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অনবরত কাজ কারে যাচ্ছে। তাদের জন্য নাই কোন ঈদের আনন্দ নাই কোন পরিবার ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সুযোগ। তারা কি করে দেশে নিজের পরিবার কে সুখে রাখবে সেই চিন্তাই করে শুধু দিনরাত। হ্যাঁ বন্ধুরা তাদেরই কথা বলছি আজ যারা দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখার জন্য জন্য আজীবন যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তো আমরা কি কখনো ভেবেছি? এই রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য সরকার কিছু করছে? প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছে। যাইহোক, পাঠকবৃন্দ, আজ আমার এক পরিচিত প্রবাসীভাইয়ের জীবন কাহিনী লিখব।
প্রবাস জীবনের গপ্প-০১
কামাল মজুমদার ১৯৯০ সালে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিবারের সর্বস্ব বিক্রি করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এখনো প্রবাস জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। আসল কথা হল বন্ধুরা, বিদেশ আসতে কোন টাকা পয়সা লাগে না। যেমন ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনের মতো দেশ থেকে কর্মীরা বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচে প্রবাসে পাড়ি জমাতে পারে। পাঠকবৃন্দ হ্যাঁ আপনাদেরই বলছি সেই কামাল মজুমদার যে কিনা দীর্ঘ ত্রিশ বছরেরও বেশি ধরে প্রবাস জীবন পার করছেন। ১৯০০ সালের কথা প্রায় ১৪০০০০ টাকা করে বিদেশ এসেছিলেন পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করার জন্য। তিনি যে কাজের জন্য ভিসা নিয়েছিলেন তা হল সুপার শপে সেইলস ম্যান হিসেবে। কিন্তু তিনি বিদেশ আসার পর দেখতে পারে আসলে ভিসাটি ছিল ভুয়া। সুপার শপের কথা বলে তার কাছথেকে ১৪০০০০ টাকা আদায় করেছিল তার আপন খালাত ভাই। তাই সে (কামাল) যেহেতু সর্বস্ব বিক্রয় করে বিদেশ এসেছে, যেভাবেই হোক তার খরচ তুলতে হবে সেই ইচ্ছায় জড়িয়ে পড়ে মাদক বিদেশে পরিচিত এক ভারতী নাগরিকের সাথে। শুরু হয় তার প্রবাস জীবন এক ভয়াবহ অপরাদের মাধ্যমে। দীর্ঘ তিন থেকে চার বছর গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে কোটি টাকার মালিকও হয়েছেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ১৯৯৫ সালের দিকে ওমানের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আদালতে বিচারের মাধ্যমে তার প্রায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়। দীর্ঘ কারভোগের পর ৩৬ বছর বয়সে ২০০৭ সালে মুক্তিপেয়ে দেশে ফিরেন তিনি। দেশে ফিরে সেখানে তার আর ঠাই হয়নি। তার ভাইয়ের তার অর্জিত সমস্ত টাকা ও তার টাকায় ক্রীত সম্পত্তি দখল করে নেন। এমনকি তাকে তার পিতৃভিঠে থেকেও বঞ্চিত করা হয়। অথচ সে এসেছিল অতি আগ্রহে নিজের পিতৃভূমি ও পরিবারের সাথে যাতে বাকি জীবন টা আনন্দে কাঠিয়ে দিবে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। হয়ত বা পিতামাতা বেচে থাকলে এমনটা হতোনা। প্রিয় ছেলেটি ফিরে আসলে হয়ত তাকে বুকে জড়িয়ে কাঁদতো তার জন্য লাল টুকটুকে বউয়ের ব্যবস্থা করতো। যাইহোক, পোড়াকপাল নিয়ে সে দীর্ঘ দু/তিন বছর ঢাকার অলিতে গলিতে ছোটখাটো কাজ করে আবার সেই মধ্যে প্রাচ্যের দেশ ওমানে পড়ি জমায়। বর্তমানে তিনি প্রায় ৪৯ বছরের এক বয়স্ক মানুষ। বিয়েশাদী তার জীবনে করা আর হয়নি। টাকাপয়সা আল্লাহর রহমতে অনেক হয়েছে বর্তমানে। দ্বিদাদন্দ্বে আছেন বাকি জীবন কিভাবে কাঠাবেন। দেশে ফিরে বিয়েশাদী করবেন নাকি এভাবে জীবন কাঠিয়ে দিবেন। দেশে গিয়েও বা কার কাছে উঠবেন। টাকা পয়সা আছে কিন্তু ভিঠেবাড়ি তো নেই। আর ভিঠেবাড়ি ছাড়া কেউ তো মেয়েও বিয়ে দিবে না তার সাথে। পাঠকবৃন্দ একটুকু বাস্তব জীবন কাহিনীই তার কাছ থেকে শোনা হল। যা আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম।
প্রবাস জীবনের গপ্প-০১
কামাল মজুমদার ১৯৯০ সালে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিবারের সর্বস্ব বিক্রি করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এখনো প্রবাস জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। আসল কথা হল বন্ধুরা, বিদেশ আসতে কোন টাকা পয়সা লাগে না। যেমন ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনের মতো দেশ থেকে কর্মীরা বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচে প্রবাসে পাড়ি জমাতে পারে। পাঠকবৃন্দ হ্যাঁ আপনাদেরই বলছি সেই কামাল মজুমদার যে কিনা দীর্ঘ ত্রিশ বছরেরও বেশি ধরে প্রবাস জীবন পার করছেন। ১৯০০ সালের কথা প্রায় ১৪০০০০ টাকা করে বিদেশ এসেছিলেন পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করার জন্য। তিনি যে কাজের জন্য ভিসা নিয়েছিলেন তা হল সুপার শপে সেইলস ম্যান হিসেবে। কিন্তু তিনি বিদেশ আসার পর দেখতে পারে আসলে ভিসাটি ছিল ভুয়া। সুপার শপের কথা বলে তার কাছথেকে ১৪০০০০ টাকা আদায় করেছিল তার আপন খালাত ভাই। তাই সে (কামাল) যেহেতু সর্বস্ব বিক্রয় করে বিদেশ এসেছে, যেভাবেই হোক তার খরচ তুলতে হবে সেই ইচ্ছায় জড়িয়ে পড়ে মাদক বিদেশে পরিচিত এক ভারতী নাগরিকের সাথে। শুরু হয় তার প্রবাস জীবন এক ভয়াবহ অপরাদের মাধ্যমে। দীর্ঘ তিন থেকে চার বছর গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে কোটি টাকার মালিকও হয়েছেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ১৯৯৫ সালের দিকে ওমানের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আদালতে বিচারের মাধ্যমে তার প্রায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়। দীর্ঘ কারভোগের পর ৩৬ বছর বয়সে ২০০৭ সালে মুক্তিপেয়ে দেশে ফিরেন তিনি। দেশে ফিরে সেখানে তার আর ঠাই হয়নি। তার ভাইয়ের তার অর্জিত সমস্ত টাকা ও তার টাকায় ক্রীত সম্পত্তি দখল করে নেন। এমনকি তাকে তার পিতৃভিঠে থেকেও বঞ্চিত করা হয়। অথচ সে এসেছিল অতি আগ্রহে নিজের পিতৃভূমি ও পরিবারের সাথে যাতে বাকি জীবন টা আনন্দে কাঠিয়ে দিবে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। হয়ত বা পিতামাতা বেচে থাকলে এমনটা হতোনা। প্রিয় ছেলেটি ফিরে আসলে হয়ত তাকে বুকে জড়িয়ে কাঁদতো তার জন্য লাল টুকটুকে বউয়ের ব্যবস্থা করতো। যাইহোক, পোড়াকপাল নিয়ে সে দীর্ঘ দু/তিন বছর ঢাকার অলিতে গলিতে ছোটখাটো কাজ করে আবার সেই মধ্যে প্রাচ্যের দেশ ওমানে পড়ি জমায়। বর্তমানে তিনি প্রায় ৪৯ বছরের এক বয়স্ক মানুষ। বিয়েশাদী তার জীবনে করা আর হয়নি। টাকাপয়সা আল্লাহর রহমতে অনেক হয়েছে বর্তমানে। দ্বিদাদন্দ্বে আছেন বাকি জীবন কিভাবে কাঠাবেন। দেশে ফিরে বিয়েশাদী করবেন নাকি এভাবে জীবন কাঠিয়ে দিবেন। দেশে গিয়েও বা কার কাছে উঠবেন। টাকা পয়সা আছে কিন্তু ভিঠেবাড়ি তো নেই। আর ভিঠেবাড়ি ছাড়া কেউ তো মেয়েও বিয়ে দিবে না তার সাথে। পাঠকবৃন্দ একটুকু বাস্তব জীবন কাহিনীই তার কাছ থেকে শোনা হল। যা আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম।
No comments:
Post a Comment