সম্প্রতি ভারতীয় সরকার একটি বিতর্কিত বিলের প্রস্তাব পাশ করেছে এবং বলছে যে ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা লোকদের একটি বাড়ি প্রস্তাব এটি। তবে বিরোধীরা বলছে যে, এই বিল
ধর্মনিরপেক্ষতার পরিচয়কে ক্ষুণ করবে। বিলটি ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্ছ কক্ষে পাশ হতে হবে। তবে এটি পাশ হলে ভারতের ইতিহাসে ৬৪ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব বিলের ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এই নতুন নাগরিকত্ব বিলের অধীনে যারা ধর্মীয়ভাবে ভারতে জাতীয় ধর্মের সাথে মিল রয়েছে তারাই নাগরকিত্ব পাবে। যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা নথিছাড়া নাগরিকরা নাগরিকত্ব পাবে না। তবে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও শিখ ধর্মের অনুসারী আছে তারাও নাগরিকত্ব পাবে। কিন্তু মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাবে না। আর এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে গেল মোদীর নেতৃত্বের বিজেপি সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের।
প্রসঙ্গত বলা যায়, ভারতীয় সরকার একে একে মুসলিমদের উপর নিপীড়নের বিভিন্ন খাত সৃষ্টি করছে। এইতো কিছুদিন আগেই, মুসলিমবিদ্বেষী এই সরকার বাবরী মসজিদ কেড়ে নেয়। এই মসজিদটি সর্বপ্রথম ১৫২৭ সালে উদ্বোধন হয় এবং ধংস করা হয় ১৯৯২ সালে । সর্বশেষ ভারতীয় সুপ্রীম র্কোটের রায়ে বিরোধীরা কোন উপযুক্ত দলিলাদি দিয়ে প্রমান করতে পারেনি যে এই মসজিদের জায়গা হিন্দুত্ববাদিদের জায়গা। যার ফলে ভারতীয় প্রধান বিচারপতি এই মর্মে রায় দেন যে, মুসলিমদের অন্যত্র মসজিদের জায়গা দিতে এবং বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে (নাউওজুবিল্লাহ-আল্লাহই একমাত্র আল্লাহর ঘর রক্ষাকারী এবং ইনশাল্লাহ রক্ষা করবেনই) রাম মন্দির নির্মান ও অন্যত্র মসজিদ পূনঃনির্মান করতে।
সর্বশেষ আসামের নাগরিক পুঞ্জিতেও মুসলিম ও বাংঙালিভাষীদের উপর মোদী সরকারের ব্যাপক বিদ্বেষ লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া প্রায়ই সময় মুসলিমদের গরুর মাংস বহন,ভক্ষণ এর অভিযোগে হত্যা করা হচ্ছে, যা আমরা অনলাইন গণমাধ্যমের কল্যানে জানতে পারি।
প্রিয় পাঠক, আপনারাই বলুন তো, পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে ভিনধর্মের লোকেরা নির্যাতিত, নিপীড়িত ও হত্যার স্বীকার হচ্ছে? আমরা বলব না। কারণ পৃথিবীতে একমাত্র ইসলাম ধর্মই আল্লাহ মনোনীত ধর্ম যার কারণে ইসলাম যেখানে শান্তি সেখানে।
(হে যমীনবাসী) তোমরা যমীনে ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করো না। (সূরা বাক্বারা শরীফ : শরীফ ১১, আ’রাফ শরীফ : শরীফ ৫২)
ধর্মনিরপেক্ষতার পরিচয়কে ক্ষুণ করবে। বিলটি ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্ছ কক্ষে পাশ হতে হবে। তবে এটি পাশ হলে ভারতের ইতিহাসে ৬৪ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব বিলের ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এই নতুন নাগরিকত্ব বিলের অধীনে যারা ধর্মীয়ভাবে ভারতে জাতীয় ধর্মের সাথে মিল রয়েছে তারাই নাগরকিত্ব পাবে। যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা নথিছাড়া নাগরিকরা নাগরিকত্ব পাবে না। তবে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও শিখ ধর্মের অনুসারী আছে তারাও নাগরিকত্ব পাবে। কিন্তু মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাবে না। আর এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে গেল মোদীর নেতৃত্বের বিজেপি সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের।
![]() |
মুসলিম বিদ্বেষী ভারতীয় বিজেপি সরকারের আরেকটি ঘৃণ্য পদক্ষেপ |
প্রসঙ্গত বলা যায়, ভারতীয় সরকার একে একে মুসলিমদের উপর নিপীড়নের বিভিন্ন খাত সৃষ্টি করছে। এইতো কিছুদিন আগেই, মুসলিমবিদ্বেষী এই সরকার বাবরী মসজিদ কেড়ে নেয়। এই মসজিদটি সর্বপ্রথম ১৫২৭ সালে উদ্বোধন হয় এবং ধংস করা হয় ১৯৯২ সালে । সর্বশেষ ভারতীয় সুপ্রীম র্কোটের রায়ে বিরোধীরা কোন উপযুক্ত দলিলাদি দিয়ে প্রমান করতে পারেনি যে এই মসজিদের জায়গা হিন্দুত্ববাদিদের জায়গা। যার ফলে ভারতীয় প্রধান বিচারপতি এই মর্মে রায় দেন যে, মুসলিমদের অন্যত্র মসজিদের জায়গা দিতে এবং বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে (নাউওজুবিল্লাহ-আল্লাহই একমাত্র আল্লাহর ঘর রক্ষাকারী এবং ইনশাল্লাহ রক্ষা করবেনই) রাম মন্দির নির্মান ও অন্যত্র মসজিদ পূনঃনির্মান করতে।
সর্বশেষ আসামের নাগরিক পুঞ্জিতেও মুসলিম ও বাংঙালিভাষীদের উপর মোদী সরকারের ব্যাপক বিদ্বেষ লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া প্রায়ই সময় মুসলিমদের গরুর মাংস বহন,ভক্ষণ এর অভিযোগে হত্যা করা হচ্ছে, যা আমরা অনলাইন গণমাধ্যমের কল্যানে জানতে পারি।
প্রিয় পাঠক, আপনারাই বলুন তো, পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে ভিনধর্মের লোকেরা নির্যাতিত, নিপীড়িত ও হত্যার স্বীকার হচ্ছে? আমরা বলব না। কারণ পৃথিবীতে একমাত্র ইসলাম ধর্মই আল্লাহ মনোনীত ধর্ম যার কারণে ইসলাম যেখানে শান্তি সেখানে।
(হে যমীনবাসী) তোমরা যমীনে ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করো না। (সূরা বাক্বারা শরীফ : শরীফ ১১, আ’রাফ শরীফ : শরীফ ৫২)
No comments:
Post a Comment