অনুশীলনী ৬ (ক)
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ তোমাদের জন্য আমার পক্ষথেকে রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আজ তোমাদের জন্যই আমি লিখতে বসলাম। তো আজ আমরা অনুশীলনী ৬(ক) এর থিওরিটিক্যাল প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।##ভগ্নাংশ কত প্রকার ও কিকি?

উত্তর: তিন প্রকার । যথা-১.প্রকৃত ভগ্নাংশ ২.অপ্রকৃত ভগ্নাংশ ৩.মিশ্র ভগ্নাংশ
##প্রকৃতভগ্নাংশ চেনার উপায়- প্রকৃত ভগ্নাংশের লব ছোট এবং হর বড় হবে।
##অপ্রকৃতভগ্নাংশ চেনার উপায়- অপ্রকৃত ভগ্নাংশের লব বড় এবং হর ছোট হবে।
##মিশ্রভগ্নাংশ চেনার উপায়- মিশ্রভগ্নাংশে একটি পূর্ণ সংখ্যা থাকবে এবং একটি প্রকৃত ভগ্নাংশ থাকবে।
##কিভাবে মিশ্রভগ্নাংশকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশে রূপান্তর করবে?
১। হরকে পূর্ণসংখ্যা দ্বারা গুণ করে লব এর সাথে যোগ করি এবং প্রাপ্ত সংখ্যাটিকে লব হিসেবে বসাই।
২। হর একই থাকবে।
##অপ্রকৃত ভগ্নাংশকে কিভাবে মিশ্র ভগ্নাংশে রূপান্তর করতে হবে?
১। লব কে হর দ্বারা ভাগ করি।
২। ভাগফলকে পূর্ণসংখ্যা অংশে এবং ভাগশেষকে লব হিসেবে লিখি।
৩। হর একই থাকবে।
##লব ও হর একই থাকলে কোন ভগ্নাংশ হবে?
লব ও হর একই থাকলে তাকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ বলা হয়।
##ভগ্নাংশকে কিভাবে ছোট থেকে বড় সাজাতে হয়?
ভগ্নাংশকে ছোট থেকে বড় সাজাতে হলে প্রথমে হরগুলোকে সমহরে রূপান্তর করতে হবে। এরপর লবগুলো বড় থেকে ছোট ক্রমান্বয়ে লিখলে ভগ্নাংশগুলো বড় থেকে ছোট ক্রমানুসারে সাজানো হয়ে যাবে।
##ভগ্নাংশকে বড়থেকে ছোট কিভাবে সাজাতে হয়?
ভগ্নাংশকে বড় থেকে ছোট সাজাতে হলে প্রথমে হরগুলোকে সমহরে রূপান্তর করতে হবে। এরপর লবগুলো ক্রমান্বয়ে ছোট থেকে বড় ক্রমানুসারে বসিয়ে দিলে ভগ্নাংশগুলো বড়থেকে ছোট সাজানো হয়ে যাবে।
##সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশে প্রকাশ বলতে কি বুঝ?
যখন কোন ভগ্নাংশের হরগুলোকে সমভাবে প্রকাশ করতে বলা হয় তখন তাকে সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ বলে। সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ প্রকাশ করার জন্য প্রথমে ভগ্নাংশগুলোর হরগুলোর ল.সা.গু. নির্ণয় করতে হবে। নির্ণয়কৃত ল.সা.গু. প্রত্যেকটি ভগ্নাংশের হরের স্থানে বসিয়ে দিতে হবে। এরপর উক্ত হর দিয়ে প্রশ্নে প্রদত্ত হর দ্বারা ভাগ করে যে ভাগফল পাওয়া যাবে তা দ্বারা প্রশ্নে প্রদত্ত লব কে গুণ করে সেই গুণফল ২য় লাইনের উক্তভগ্নাংশের লবের স্থানে বসিয়ে দিতে হবে। এভাবে করে যতটি ভগ্নাংশ থাকবে ততটিতে একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
##লগিষ্ঠ আকারে প্রকাশ বলতে কি বুঝ?
যখন কোন ভগ্নাংশকে লগিষ্ঠ আকারে প্রকাশ করতে বলা হয় তখন আমাদের যে নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
লব ও হরের লসাগু বের করতে হবে। যেমন: লব ৪ এর ল.সা.গু. ২*২ এবং হর ৬ এর ল.সা.গু. ২*৩ । এরপর ল.সা.গু. গুলো লব ও হরের স্থানে বসিয়ে উপরে নিচে কাটাকাটি/ভাগ করতে হবে। ভাগ করার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তাকে বলা হয় লগিষ্ঠ আকারে প্রকাশ।
সৃষ্টিশীল
ReplyDelete